জীবন নিয়ে উক্তি -৩৫ টি মুল্যবান উক্তি [Jiban Niye Ukti]

জীবন

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এই নিম্নলিখিত বানী গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জীবন বানী গুলোই আমাদের জীবনের বাম্পার গুলো কে ধীরে সুস্থে অতিক্রম করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই পোস্টে জীবন নিয়ে উক্তি গুলো আপনার জীবন কেও বদলে ফেলার ক্ষমতা রাখে।

জীবন নিয়ে উক্তি

জীবন নিয়ে ৩৫ টি উক্তি  

প্রকৃতি তোমাদের অনেক রকমের রাস্তা দেখাবে। কোন রাস্তায় তুমি হাঁটবে, তা তোমাকেই পছন্দ করতে হবে। আর তোমার এই পছন্দের ওপর নির্ভর করছে তোমার জীবন কেমন হবে।

টিউলিপ

প্রকৃতি ভালো আর খারাপ দুই রাস্তায় দেখাবে। এক রাস্তায় থাকবে পরিশ্রম, ক্লান্তি, আর শেষে আলো। আর অন্য রাস্তায় থাকবে অন্যায়,অপরাধ,সাময়িক আনন্দ,শেষে শাস্তি, প্রায়শ্চিত্ত, কষ্ট। 

টিউলিপ

জীবনে ঘটে যাওয়া কোন ক্ষয়-ক্ষতির জন্য অন্যকে দায়ী করো না, বরং নিজেকে দায়ী করো। এর ফলে দায়িত্ত্ব জ্ঞান বাড়বে। তুমি উন্নতির পথে হাঁটতে পারবে।

টিউলিপ

জীবনে যৌন ইচ্ছা গুলো কে বেশী গুরুত্ত্ব দিও না। যেমন তুমি তোমার শরীরের অন্য অঙ্গ গুলোর কথাই ভাবো না, সেই রকম এই যৌনাঙ্গ কেও মাথায় তুলো না যেন।

টিউলিপ

পুষ্টিকর খাবার ও শরীরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যখন মন হিংসায় ভরপুর থাকে।

টিউলিপ

শিক্ষকদেরও মাঝে মাঝে বই এর সাহায্য নিতে হয়, ডাক্তারদেরও শরীর খারাপ হলে অন্য ডাক্তারের সাহায্য নিতে বা ওষুধ খেতে হয় । ঠিক তেমনভাবেই মোটিভেশনাল স্পিকার দেরও মন খারাপ হতেই পারে ।

টিউলিপ

কিন্তু সবচে মজার ব্যাপার কি জানো- জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ কখন পাওয়া যায় বল তো?

টিউলিপ

যখন সেই মন খারাপ এর সময়ে কয়েক মাস আগে নিজেরেই কোনো লিখা নিজের মন কে ফ্রেশ করে দেয়, নিজেরেই পুরানো লিখা বার বার পড়তে ভালো লাগে । জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি বোধ হয় আর কিছু হয় না।

টিউলিপ

মনে হিংসা, ক্রোধ , অন্যের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা, অন্যের সাথে প্রতি মুহূর্তে তুলনা –এইসব নিয়ে যদি তুমি বেঁচে থাকো –তাহলে তোমার ঈশ্বরের প্রতি পূজা, ধ্যান- এইসব কার্যকলাপের কোন মানেই হয় না। সব কিছু বৃথা।

টিউলিপ

কখনো কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করো না। তুলনা করলে তুমি নিজেই নিজেকে ছোট করবে। তুমি অনন্য। প্রতিটি জীবের বিশেষ গুরুত্ব আছে এই পৃথিবীতে। তুলনা করে সময় নষ্ট না করে, নিজের গুনকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করো।

টিউলিপ

গৃহবধূ হওয়ার জন্য আক্ষেপ করো না। মনে রাখবে- ওই গৃহের প্রতিটি মানুষের সুখ তোমার ওপর নির্ভরশীল। এ বড় জটিল কাজ। পুরুষ মানুষের দ্বারা এই কাজ হয় না। নারী শক্তিই পারে এক গৃহের পিলার গুলোকে মজবুত করে তুলতে।

আবার যে মজবুত করতে জানে, সে ধ্বংসও করতে জানে। স্বামী যদি সুন্দর স্বভাবের হয়, তাহলে তুমি কেন সুন্দর গৃহবধূ হতে পারবে না?

টিউলিপ

গৃহবধূ পেশা টি সবচে উৎকৃষ্ট পেশা। কিন্তু নারী জাতি এর গুরুত্ব বুঝতে না পেরে, নিজেরাই নিজেদের পেশা কে ছোট চোখে দেখে থাকে।

টিউলিপ

গৃহবধূ মানে তো সে বাড়ীর ম্যানেজার। তার ওপর নির্ভর করছে ওই গৃহের সদস্যরা কখন কি খাবে, কোথায় কে ঘুমবে, কে কখন কোন কাজ টা করবে। এই সব ম্যানেজ করা কি সহজ কাজ?

টিউলিপ

কখনো কখনো গৃহবধূ পেশাটি বদলানোর প্রয়োজন পড়ে। যেমন কোম্পানি বাজে হলে চাকুরীজীবীরা কোম্পানি বদলে নেয়, আবার হয়তো কোম্পানি ভালো, কিন্তু প্রোজেক্ট ভালো না। সেক্ষেত্রে প্রোজেক্ট বদলানো উচিত। আবার যদি আর্থিক অবস্থা ভালো না হয়, তখনো কোম্পানি বদলানোর প্রয়োজন পড়ে।

টিউলিপ

একইরকম ভাবে গৃহের সদস্যারাই যদি বাজে চরিত্রের হয়, সেই গৃহ বদলানো উচিত। গৃহের সদস্যরা ভালো, কিন্তু গৃহের আর্থিক অবস্থা ভালো না, সেক্ষেত্রে গৃহবধূ পেশার সাথে আর একটা পেশা যোগ করা উচিত। আর যদি গৃহের সদস্যরা ভালো, আর্থিক অবস্থাও ভালো; তাহলে সেই গৃহের বধূকে নিজেকেই বদলানো উচিত, গৃহবধূর দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো উচিত।  

স্পিরিচুএলিটি হল এস্ট্রলজি এরও ওপরে। তোমার মধ্যে স্পিরিচুএল পাওয়ার থাকলে, তুমি অবশ্যই তোমার কুষ্ঠী কে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।

টিউলিপ

কুষ্ঠী হল অনেকটা থাম্ব রুলের মত। তোমার জন্ম তারিখ মাস সময় এর ওপর গ্রহ, নক্ষত্র, ও প্রকৃতির অন্যান্য এলিমেন্ট কেমন প্রভাব ফেলে, সেইসব ই প্রতিফলিত হয় তোমার কুষ্ঠিতে।

টিউলিপ

চাঁদের আকর্ষণে, সমুদ্রের জল যেমন নেচে ওঠে; ঠিক তেমনি তোমার শরীর ও মন ও সেই আকর্ষণে প্রভাবিত হয়। আর কিভাবে তা প্রভাবিত হয়, কিম্বা কোন জন্ম সময়ের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সেইসব কিছুই অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ওপর সার্ভে করে তৈরি করা হয়েছে।

আর তুমি যদি এইসব কিছুর উরধে গিয়ে এই সব কিছুর মালিক ঈশ্বর কে খুশি করতে পারো, কোন গ্রহ বা উপগ্রহই পারবে না তোমার উন্নতি কে আটকাতে।

জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল মেচিউরিটি। মেচিউরিটিতে যদি সবচেয়ে বেশী মার্কস পেয়ে থাকো, জীবনের পার্থিব সুখ না তোমায় সুখী করতে পারবে আবার কিছু হারানোর বেদনা না তোমায় দুঃখ দিতে পারবে।

টিউলিপ

দীর্ঘসূত্রিতা হল সময় কে অপমান করা। আর সময় কে অবজ্ঞা করলে সময় ও কিন্তু তোমাকে ছেড়ে দেবে না।

টিউলিপ

কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসো। যতক্ষণ তুমি কুসংস্কারে ডুবে থাকবে, ততক্ষণ অবধি তুমি জ্ঞানের আলোর স্বাদ পাবে না।

টিউলিপ

কোন কিছুর যদি স্বপ্ন থাকে জীবনে, ব্যর্থতার জন্য থেমে যেও না। থেমে গেলেই নেগেটিভ শক্তি জন্ম নেবে। এই নেগেটিভ শক্তি কখনই তোমাকে সফল হতে দেবে না।

টিউলিপ

হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেও ওই ভাঙ্গা পা নিয়েই এগিয়ে চলো। তোমার এগিয়ে চলার তেজ ই তোমার পা দুটোকে সুস্থ করে তুলবে।

টিউলিপ

শিক্ষা গ্রহন করে জ্ঞানী হলেই তুমি মহান হবে না। সেই জ্ঞান কে ছড়িয়ে দিতেও জানতে হবে।

টিউলিপ

প্রচুর জ্ঞানী হয়ে যদি তুমি সমাজ কে কিছু দিতে না পারো; তাহলে সেই জ্ঞানের কোন মুল্য নেই।

টিউলিপ

প্রচুর ধনী হয়ে তুমি যদি সমাজ কে কোনোভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দাও, তাহলে সেই অর্থ কমানোর জন্য দুঃখ,কষ্ট অবশ্যই হাজির হবে।

টিউলিপ

অতিরিক্ত জমানোর (প্রয়োজনের তুলনায়) চেয়ে খরচ করা অনেক শ্রেয়। তুমি যখন খরচ করো, অর্থ প্রবাহিত হতে থাকে। যে কোন কিছুর প্রবাহই সমাজ কে গতিমান করে তুলে।

টিউলিপ

ধ্যান, সাধনা যদি তোমার স্বতঃস্ফূর্তভাবে না আসে, তাহলে ওইসবের পিছনে ছুটো না। কারন ঈশ্বর তোমাকে অন্য কোন কিছুর জন্য রচনা করেছেন। তা খুঁজে বার করো। হয়তো কোন বিশাল কর্মের জন্য উনি তোমাকে রচনা করেছেন। তাই কর্ম করে যেও।

টিউলিপ

কর্মকেই ধ্যান বানিয়ে দিও। সঠিক কর্ম, সমাজের মঙ্গলের জন্য কর্ম দিয়ে তুমি একজন যোগীর চেয়েও অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছাতে পারো।

টিউলিপ

শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম তুমি করতেই পারো শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য, কিন্তু এইসব এর মাধ্যমে যোগী হওয়ার স্বপ্ন দেখে সময় নষ্ট করো না।

টিউলিপ

যৌন আসক্তি যখন তোমার শরীর ও মন ছেড়ে চলে যাবে, তখন দেখবে জীবন টাই তোমার ধ্যান হয়ে উঠেছে।

টিউলিপ

কামিনীকাঞ্চন থেকে বেরিয়ে এসে, মোহ, লোভ, হিংসা থেকেও যদি দূরে থাকতে পারো; তাহলে জানবে তুমি আধ্যাত্মিকতার দিকে এগোচ্ছ।  

আমার মনের মধ্যে জন্ম নেওয়া নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা গুলো আমার জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে যথেষ্ট।

টিউলিপ

মন হল ভারী দুষ্টু। নানান রকম চিন্তা দিয়ে এক পর্দা বানিয়ে সেই পর্দার দ্বারা তোমাকে তোমার অন্তরের তুমি (স্বচ্ছ তুমি বা আত্মা) থেকে আলাদা করে রাখে।

টিউলিপ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে দেখে জীবনে এগিয়ে চলতে শেখ। বিশাল জমিদার বাড়ির ছেলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে দেখে জীবনে এগিয়ে যেতে শেখ। কষ্টকে পাত্তা দিও না।

টিউলিপ

কাউকে হারানোর কষ্ট দারিদ্র্যের কষ্টের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। তবে দারিদ্র্যের কষ্ট সহজেই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে।

টিউলিপ

কষ্ট কে আমরা আটকাতে পারবো না। কিন্তু সেই কষ্টে আমরা কতখানি ভুগবো তা আবশ্যই আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারবো।

টিউলিপ

কারো মৃত্যুর জন্য তুমি থেমে থাকতে পারো না। কারন তুমি তো এখনো সময়ের ভেলাতে চেপে আছ। তাই পিছনের দিকে না তাকিয়ে, সামনের দিকে এগিয়ে যেও।

টিউলিপ

আশা করি জীবন নিয়ে উক্তি গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। এইরকম কিছু অনুপ্রেরণামূলক উক্তি যদি অন্য কিছুর ওপরে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে পাঠান। এই জীবন বানী গুলো আপনাদের কেমন লাগল তা জানাতে ভুলবেন না যেন। (বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উক্তিগুলো আমার নিজস্ব। তাই অনুমতি ছাড়া কপি করা অপরাধ হিসেবে গন্য হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে)

2 thoughts on “জীবন নিয়ে উক্তি -৩৫ টি মুল্যবান উক্তি [Jiban Niye Ukti]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট