মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল

মোবাইল ফোন এর সুফল ও কুফল

মোবাইল এখন আমাদের জীবনের চিরসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন এডাল্ট নেই যে তা ব্যবহার করে না।  আমরা মোবাইলকে যতটা আমাদের কাছে রাখি, আর কোন জিনিষ কে ততটা কাছে রাখি না, এমন কি নিজেদের সন্তানকেও না। তাই সকলেরই জানা উচিত -মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো কি কি।

মোবাইল কি?

মোবাইল কথার অর্থ হল ভ্রাম্যমান; অর্থাৎ যাকে সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।

তারবিহীন টেলিফোনকেই এক কথায় মোবাইল বলা হয়ে থাকে। এটি বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

বর্তমানে মোবাইলগুলো কম্পিউটার এর কাজ করে থাকে। আর এই ধরনের মোবাইল ফোন কে স্মার্ট ফোন বলা হয়।

মোবাইলের ইতিহাস

মোবাইলের প্রধান কাজ যোগাযোগ স্থাপন করা ; এক জায়গার মানুষের সাথে আরেক জায়গার মানুষের যোগাযোগ করা।

১৯৭৩ সালে ডঃ মারটিন কুপার এবং ডঃ জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম দূরে মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য এক অভিনব মেশিন আবিষ্কার করেন। এই মেশিনটির নাম টেলিফোন। মেশিনটির ওজন প্রায় ১ কেজি।

সেইসময় মার্কিন আবিষ্কারক ডঃ মারটিন কুপার মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৩ সালে এই টেলিফোন নামক মেশিন টি জনপ্রিয়তা পায়।

পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোনে ব্যবহারের আওতায় এসেছে।

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো কি কি?

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলোর মধ্যে আগে ভালো দিকগুলোই দেখে নিন-

মোবাইল ব্যবহারের সুফল গুলো কি

মোবাইল ব্যবহারের খারাপ দিক গুলোর চেয়ে, ভালো দিকগুলোই সবার আগে নজর কাড়া উচিৎ। তাই অপকারিতার চেয়ে আগে উপকারিতাগুলোই দেখে নেওয়া যাকঃ

১। বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদের খবর নিতে চান?

বাড়ীর ছেলেমেয়েরা সব বাড়ীর বাইরে থেকে কলেজে পড়াশুনো করছে। আর আপনার চিন্তায় দিন কাটছে। এমনটাই তো হত বেশ কয়েক বছর আগে। এখন মোবাইল এসে অনেকের অনেক চিন্তা কমিয়ে দিয়েছে।

বাড়ীতে বসেই আত্মীয় স্বজনদের খবর পাওয়া যায়; ছেলে মেয়ের সাথে কথা বলে মন ভালো করা যায়; বন্ধুদের সাথে মোবাইলে আড্ডাও দেওয়া যায়, খেলতে যাওয়ার প্ল্যান ও করা যায়।

২। কোন অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন করতে চান?

শরীর ভালো নেই? বার্ধক্য এর জন্য শক্তি কমে গেছে? অথচ ছেলের বিয়ে হয় নি? আত্মীয় স্বজনরা বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে আছে। চিঠি পাঠানো ছাড়া কোন উপায় ও নেই। অনেকের বাড়ীতে চিঠি পউছালো, অনেকের বাড়ীতে পউছালো না। ভারী সমস্যা! অনেকে আসতেই পারলো না বিয়েতে?

মোবাইলই তো এই সব সমস্যার করেছে সমাধান।  এখন জাস্ট একটা ফোনে সকল আত্মীয় স্বজনকে নেমন্তন্ন করা যায়।

৩। গান শুনতে চান?

জীবনের একঘেয়েমি সকল মানুষকেই কখনো না কখনো স্পর্শ করেছে। আর তখন যারা প্রকৃতির রুপের মধ্যে সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো কিছু খুঁজে পেয়েছিল, কিংবা ডায়েরি এর পর ডায়েরি লিখাতে মেতে থাকতে পেরেছিল; তারাই একমাত্র এই একঘেয়েমি থেকে বেরোতে পেরেছিল।

আরও কিছু মানুষ সেই একঘেয়েমি কে দূরে ঠেলতে পেরেছিল, যারা কঠোর পরিশ্রমে ডুবে থাকতো, আর যারা রেডিও তে গান শোনাতে মেতে থাকতো।

এখন রেডিও না, মোবাইল ফোন। গান শুনতে চাইলে ক্যেসেট এর দরকার নেই। অজস্র, অগুনতি গান। শুধু শোনার সময় থাকলেই হল।

৪। ছবি তুলতে চান?

বিচিত্র এই পৃথিবীর বিচিত্র সব মানুষ। কারো গান শুনতে ভালো লাগে, আবার কারো ছবি তুলতে ভালো লাগে।

মোবাইল একা হাতে এই অজস্র মানুষের অজস্র এই স্বাদ মিটিয়েছে। ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা এর দরকার নেই, দরকার একটা মোবাইল ফোনের; যা একই সাথে অনেক রকমের স্বাদ মেটাতে পারে।

৫। রাস্তা ভুলে গেছেন?

মোবাইল ই আপনাকে রাস্তা দেখাবে।
মোবাইল ফোন থেকে জানুন রোডম্যাপ

কোথাও দূর সফরে যাচ্ছেন? ছোটবেলাতে বাবার সাথে কতবার গেছেন? তবু রাস্তাগুলো অচেনা লাগছে? মানুষের বয়সের সাথে সাথে রাস্তারও বয়স বাড়ছে, রাস্তারও শাখা প্রশাখা বাড়ছে। কিন্তু বৃদ্ধ বাবা কে তো শুধুমাত্র রাস্তা দেখানোর জন্য টেনে নিয়ে যাওয়া টা কি ঠিক হবে?

এইসব চিন্তা কবে বিদায় নিয়েছে, যখন মোবাইলে জিপিএস এসেছিল। এখন মোবাইলই তো যে কোন অপরিচিত রাস্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

৬। বাড়ীতে ক্যালেন্ডার নেই?

মাসের কবে দুরগাপুজো আর কতদিন অফিস ছুটি থাকতে পারে –এইসব যদি আগে থেকে জানতে পারা যায়, ঘোরার প্ল্যান টাও ঠিক করে করা যায়। আর এই সবের জন্য একসময় ক্যালেন্ডার টা কে সাথে নিয়েই থাকতে হত।

এইসব কিছু এখন একটা মোবাইল ফোনেই হয়ে যায় শুধু মাত্র একটা এপ্স ইন্সটল করে।

৭। ঘড়িটা খারাপ হয়ে আছে?

হাতের মধ্যে যে ঘড়িটা টিক টিক করে সময় বলে দেয়, একদিন সেটা পরতে ভুলে গেলেই, কি বিকট সমস্যায় পড়তে হত সকলকে। বাড়ীতে ঘড়ি টা খারাপ হয়ে আছে? এই অবস্থায় থাকা যায় নাকি? শীঘ্রই বাজার থেকে ব্যাটারি এনে লাগানো হত ঘড়িতে।

এইসব সমস্যার অবসান ঘটেছে। অবসান ঘটিয়েছে মোবাইল ফোন।

৮। ঘরে বসে টাকা রোজগার করতে চান?

বাড়ীতে নানান সমস্যা? আর তাই তো আপনি ঘরে বসে চাকরি করতে চান? আর আপনার এই সমস্যাও সমাধান করতে পারে এখনকার স্মার্ট ফোনগুলো।

৯। শরীর খারাপের জন্য অফিসে যেতে পারছেন না, কিন্তু অনেক কাজ পড়ে আছে?

শরীর খারাপ তো যে কারো যে কোন সময় হটাত করেই হতে পারে। আর এইজন্যই তো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ পড়ে আছে অফিসে? অথচ অফিস যেতে পারছেন না? কিন্তু আপনি না গেলে সেই কাজ সম্ভব কি করে?

এখন তা সম্ভব হয়েছে। আর স্মার্ট ফোনগুলো থেকে আপনি বাড়ীতে বসে অফিসের কাজ করতে পারেন। 

১০। খবরের কাগজ আজ বাড়ীতে আসে নি?

খবরের কাগজ প্রত্যেকদিন সকালে বাড়ীর সদর দরজায় না দেখতে পেলে মনটাই যেত বিগড়ে। খোঁজ নেওয়ারও উপায় নেই। লোকটা খবরের কাগজ টা দিল না কেন? তাহলে কি সে ভুলে গেল? আসুক সে, আগামীকাল যা ঝাড় দেবো, আর জীবনেও ভুলবে না ।

এইরকমেই তো দিন কাটতো আমাদের ঠাকুরদা আর তার আগের প্রজন্মের । আমাদের দিন সেদিক দিয়ে খুবই ভালো কাটে। কারন আমরা মোবাইল ফোন থেকে একদম আপডেট খবর পেয়ে থাকি।

১১।  কোন কোম্পানিতে কি ভেকেন্সি আছে, তা জানতে চান?

খবরের কাগজ ছাড়া জানাই যেত না যে কোন কোম্পানি তে কতোগুলো ভেকেন্সি আছে। অমুখ লোক কে বলে , সেও আবার আরেকজন কে জিগ্যেস করে এনে দিত খবর। তখন এক মানুষ থেকে আরেক মানুষ- এইভাবেই জানা যেত কোন কোম্পানি লোক নিচ্ছে। এর ফলে কিছু মানুষের কাছে তা পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যেত।

আর তাই কিছু মানুষ চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় খুব ভুগতো।

এই সব সমস্যা কে মুছে দিয়েছে মোবাইল ফোন।

১২। চাকরি এপ্লায় করতে চান?

চাকরি এপ্লায় করতে চান? কি করে ফর্ম ফিল আপ করে কোম্পানিতে জমা দেবেন তাই ভাবছেন? হাতে মাত্র এক দিন সময়? কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই আপনার ১ দিনের বেশী সময় লাগবে?

না, এইসব সমস্যা অনেক কাল আগের। এখনকার জেনারেশেন এই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে অবগত ই নয়। তার কারন ও হল- আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি।

১৩। মেল পাঠাতে চান?

মোবাইল থেকে মেল পাঠান

কিছু একটা জরুরী খবর পাঠাবেন? কিন্তু চিঠি পাঠালে তো অনেকগুলো দিন লেগে যাবে পৌঁছাতে?

কিংবা ধরুন হটাত করে শরীর খারাপ? তাই অফিসে যেতে পারবেন না? কিন্তু সেই কথা জানাবেন কি করে?

এখন আর এইসব নিয়ে কে ঘাবড়াই?  মোবাইল থেকেই একটা ই-মেল করে দিলেই তো সব সমস্যার সমাধান হ্যে যায়।

মোবাইলের ব্যবহারের কুফল গুলো কি

উপকারিতায় ভরপুর যে ছোট্ট খাট্টো মেশিন টি, তার কোন অপকারিতা থাকবে না, তা আবার হয় নাকি? এমন কোন মানুষ ও যেমন নেই যে সবার জন্য শুধুই ভালো, ঠিক তেমনি এমন কোন মেশিনও নেই যার শুধুই উপকারিতাই আছে, কোন অপকারিতা নেই।

তাহলে দেখে নেওয়া যাক মোবাইল এর জন্ম কিভাবে আমাদের বা সমাজের ক্ষতি সাধন করে-

১। অনেক মানুষের চাকরি চলে গেছে

কোডাক ক্যামেরা কিংবা রেডিও  এখন লুপ্তপ্রায়। ওইসব এখন আর কারখানাতে তৈরি করতে হয় না। তাই এইরকম অনেক কারখানা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে অনেক মানুষের চাকরি গেছে।

২। অনেক মানুষের চোখে চশমা এসেছে

অনেকে সারাক্ষণ মোবাইলে কাজ করার জন্য চোখের সাথে মোবাইলের দুরত্ব বজায় রাখার কথা ভুলে যায়। এর ফলে, অনেক মানুষের চোখ খারাপ হয়েছে। চশমা নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

চশমার দোকানে বিক্রয় বেড়েছে।

৩। মানুষ প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে

মোবাইল এই যেহেতু অনেক কাজ করা যায়, মানুষ এর বাড়ীর বাইরে বেরোনো কমেছে। এর ফলে মানুষ প্রকৃতি থেকে দূরে সরে গেছে।

৪। মোবাইল এ নানান রকমের নোংরা ভিডিও মানুষ কে বিপথগামী করে তুলেছে

মোবাইল এ যেমন ভালো কিছু দেখা যায় –ভালো সিনেমা, ভালো নাচ; ঠিক তেমনি খারাপ সিনেমা, খারাপ নাচ ও দেখা যায়। কিছু বাজে মানুষ এইসব কিছু আপলোড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, মোবাইল সাবধানে হ্যান্ডেল করা উচিৎ।

বাড়ীতে টিনেজার ছেলে মেয়েরা থাকলে এই নোংরা ভিডিও তাদের বিপথগামী করে তুলতে পারে।

৫। বাচ্চারাও মোবাইলে এডিক্টেড হয়ে থাকে

অনেক সময় বাচ্চারা গোলমাল করলে, বড়রা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে বাচ্চাদের ব্যাস্ত রাখে।  এইরকম দিনের পর দিন করতে থাকলে, বাচ্চারাও মোবাইলে এডিক্টেড হয়ে যেতে পারে। যার ফলে তাদের দৃষ্টিশক্তি ব্যহত হতে পারে।

৬। অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার  

অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার অনেক রোগের জন্ম দিয়ে থাকে , বিশেষ করে টিউমার এর মতো রোগ। যদিও এই নিয়ে অনেক রিসার্চ এখনো চলছে।

মোবাইল ব্যবহার কিভাবে কম করা যাবে

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- অত্যধিক যাহা, তাহাই বিষ।

বেশী ভালোবাসা কিংবা বেশী আসক্তি যেমন ভালো না তেমনি বেশী মবাইলের ওপর নির্ভরশীল হওয়াটাও ভালো না।

সেইজন্য অতি অবশ্যই পড়ুন মোবাইল ব্যবহার কমানোর উপায়-

১। প্রত্যহ রাত্রে ডিনার সেরে পর একবার মাত্র মোবাইল চেক করে তা সুইচ অফ করে রাখুন

এখনকার সময়ে প্রত্যেকের বাড়ীতে একটার বেশী মোবাইল থাকে। তাই একদিন একটা মোবাইল রাত্রে সুইচ অফ করবেন আর পরের দিন ওই অন্য মোবাইল টা সুইচ অফ করবেন। ইমারজেন্সির জন্য একই সাথে দুটো মোবাইল সুইচ অফ নাও করতে পারেন।

কিংবা বাড়ীতে একটা ল্যান্ড ফোন রাখুন। আর মোবাইল গুলো সারা রাত্রি সুইচ অফ রাখুন। এতে আপনার মোবাইল গুলো ভালো থাকবে।

২। বাড়ীতে আমোদ প্রমোদের জন্য টিভি ব্যবহার করুন

টিভির সব কিছু মোবাইলে দেখার চেষ্টা করবেন না। খবর শুনতে চাইলে টিভি তেই খবর শুনুন।

৩। গান শোনার জন্য মিউজিক সিস্টেম ব্যবহার করুন কিংবা মোবাইলে গান বাজিয়ে মোবাইল টি অন্য জায়গায় রেখে শুনতে থাকুন।

আপনি যদি মোবাইল থেকেই গান শুনতে চান, তাহলে মোবাইল এ গান লাগিয়ে টেবিলের অপ রেখে দিন। ওটি হাতে নিয়ে গান শুনবেন না।

৪।  বাড়ীতে কম্পিউটার রাখুন

ইউটিউবে কিছু দেখতে চাইলে কম্পিউটার থেকে দেখুন।

ভাবছেন তো- এ তো প্রচুর খরচ। কিন্তু আপনার চোখ খারাপ হলে এর চেয়েও বেশী খরচ হবে। প্রায় সময় এ চোখের পাওয়ার বদলাবে, চশমা বদলাবে। ফলে খরচ বাড়বে।

৫। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল টা অন করা বন্ধ করুন

ঘুম থেকে উঠেই একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসুন। কিন্তু মোবাইল সাথে নিয়ে যাবেন না কিন্তু।

৬। বাচ্চাদের কে মোবাইল দেবেন না বরং বাচ্চাদের সাথে খেলা করুন

বাচ্চাদের সাথে কিছুটা সময় কাটান। বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে ওদের ভবিষ্যৎ খারাপ করবেন না যেন।

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো মাথায় রেখে এগিয়ে যান। দেখবেন ধীরে ধীরে অভ্যেস হয়ে যাবে। মানুষ হল অভ্যেসের দাস। তবে এক- দুবার প্র্যাকটিস করলে কোন কিছুই হবে না। বার বার এই অভ্যেসগুলো ফলো করুন আর মোবাইল এর খারাপ দিক গুলো স্মরনে রাখুন।

আশা করি মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো জানার পরে প্রতিটি নাগরিক কুফল গুলো থেকে দূরে থাকারেই চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট