ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা

ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা

এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, ছাত্রদের অন্যদের সাথে ইন্টারেক্সেন অনেকখানি কমে গেছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা গুলোর সাথে ইন্টারেক্সেন বাড়ানো উচিৎ।

এখন তারা বাবা মা এর সাথে একই বাড়ীতে থাকলেও তাদের মন থাকে ইন্টারনেটে, মনশুধু উড়তে থাকে।

আর এই জন্যই তো বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা যেন স্মার্ট ফোন থেকে সহজেই পড়া যায়- তার দিকে আমাদের নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

পরিবার বলতে শুধু বাবা মা আর ভাইবোন। সেই জয়েন্ট ফেমিলি কবে ভেঙ্গে গেছে। পরিবারের সবচে বড় সদস্য এখন স্মার্ট ফোন।

এই স্মার্ট ফোন টাই যদি সকাল সকাল “ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা” ডিসপ্লে করে তাহলে আমি নিশ্চিত ছাত্রদের চিন্তা ভাবনা অনেক পজিটিভ হয়ে উঠবে।

কিছু মোটিভেশনাল কথা বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপস্থাপনা করলাম। আশা করি এই কথা গুলো ছাত্রছাত্রীদের মনে এক বিশাল প্রেরনা যোগাবে।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা

পরিবেশ

ভালোভাবে শিক্ষা অর্জনের জন্য সঠিক পরিবেশ খুবই দরকার। সেই পরিবেশ তোমাকেই তৈরি করতে হবে।

মাটি উর্বর করে বীজ লাগিয়ে একটা গাছের বৃদ্ধির যত্ন যখন তুমি নিতে পারো; নিজে বড় হওয়ার জন্য পরিবেশ ও উর্বর করতে নিশ্চয় সক্ষম হবে।

টিউলিপ

গাছটিকে পরিবেশ তুমি দাও কিন্তু গাছ যদি সূর্য থেকে আলো, আর চারিপাশ থেকে অক্সিজেন নিয়ে খাদ্য তৈরি না করতো; তাহলে কি গাছ টা বাড়তো?

ঠিক সেইরকম, পরিবেশ তৈরি করার পরে তোমাকেও শিক্ষকদের থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে; পরিবেশ থেকে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করতে হবে।

টিউলিপ

তোমরাই ভবিষ্যৎ। তোমাদের পিতা মাতা বর্তমান। আর তোমাদের দাদা দিদা বা বড় দাদা এবং বড় দিদা –এরা সবাই তোমাদের অতীত।

সময়চক্রের গতির জন্য অতীত এর সাথে ভবিষ্যতের কোন মিল নাই থাকতে পারে। কিন্তু তবুও অতীতের সাথে তর্ক বিতর্ক না করে; অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহন করে ভবিষ্যতকে মজবুত করে তোল।

টিউলিপ

শিক্ষা

শিক্ষাই তোমাদের হাতিয়ার। শুধু জ্ঞান অর্জন করে যাও।

প্রকৃত জ্ঞান কখনো বিফলে যায় না। তবে শুধু থিওরি গত জ্ঞান থাকলেই হবে না, সাথে চাই প্র্যাক্টিকেল জ্ঞান।

টিউলিপ

যেসব জিনিষ তুমি তোমার পাঠ্য বিষয়ে পড়বে, সেইসব নিয়ে কৌতূহল থাকা ভালো। এই কৌতূহলই তোমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

টিউলিপ

বটি তে যেমন ধার এর খুব প্রয়োজন; ধার না থাকলে সেই বটি কোন কাজেই আসে না।

ঠিক একইরকম ভাবে শিক্ষা যদি প্রয়োগ করা না হয়, সেই শিক্ষাও তাহলে মজবুত হয় না।

টিউলিপ

শিক্ষা কোন জমিয়ে রাখার জিনিষ নয়। যা তোমরা শিখবে, তা তোমাদের চেয়ে ছোট কারো কাছে প্রয়োগ করো, মানে ছোটদের শেখাও।

যতই তোমরা শিক্ষা দান করবে, ততই তোমরা সেই শিক্ষার ভীত মজবুত করবে। ছোটরা এমন এমন প্রশ্ন করে থাকবে; যা তোমাদের ভাবিয়ে তুলবে। আর সেই ভাবনাই তো শিক্ষার ভীত মজবুত করবে।

টিউলিপ

যুদ্ধে যেমন অস্ত্র চালনার সাথে সাথে শারীরিক শক্তি আর বুদ্ধি দুইয়েরই প্রয়োজন হয়; ঠিক তেমনি জীবন যুদ্ধে শিক্ষা আর সাস্থ্য এই দুইয়েরই প্রয়োজন হয়।

টিউলিপ

তোমরা হলে আমাদের কে রক্ষা করার অস্ত্র। বর্তমানের সমস্যা দূর করতে সমাজের ভবিষ্যৎ এই ছাত্র সমাজ কে খুবই দরকার।

টিউলিপ

অস্ত্র নিজে নিজে পরিচালিত হয় না। এক যোদ্ধা কে দরকার হয় তা পরিচালনা করার।

ঠিক তেমনি তোমরাও সঠিক শিক্ষার জন্য ভালো শিক্ষকের সাহায্য নাও।

টিউলিপ

রাজনীতি তে জড়িয়ে ছাত্র সমাজের মাধুর্য কে নষ্ট করো না।

রাজনীতি তে কাজ করার জন্য এখনো অনেক সময় আছে তোমাদের হাতে।

টিউলিপ

তোমার অর্জিত শিক্ষা যদি তোমার রুটি রোজগার করতে ব্যর্থ হয়; তাহলে তোমার সেই শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় নি কিম্বা তোমার শিক্ষায় খাদ রয়ে গেছে।

টিউলিপ

তোমরা হৃদয় থেকে শেখো। এমনভাবে শেখো, যেন সেই শেখা তথ্যগুলো বহুদিন পর্যন্ত স্মরনে থাকে।

সঠিক শিক্ষা কখনোই তোমার অর্থাভাব আনবে না।

টিউলিপ

ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য চাই শিক্ষা আর শিক্ষা কে প্রয়োগ করার ক্যাপাবিলিটি।

শিক্ষা হল সুখের ভবিষ্যতে ঢোকার পাসপোর্ট আর শিক্ষা প্রয়োগ করার ক্যাপাবিলিটি হল কোন নির্দিষ্ট ফিল্ডে যাওয়ার জন্য ভিসা।

এই পাসপোর্ট আর ভিসা –দুটোই তোমাকে অর্জন করতে হবে।

টিউলিপ

পরিশ্রম

ওঠো, পরিশ্রম করো। বসে বসে সময় নষ্ট করো না।

রাস্তা যতই দুর্গম হোক না কেন, নির্ভীকের মতো এগিয়ে যেও।

মনে রেখো- অলসতা আর দীর্ঘসূত্রিতা সাফল্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।

টিউলিপ

পড়াশুনোই তোমাদের পূজা, ধ্যান। আলাদা করে মূর্তি পূজা করার কোন দরকার নেই।

টিউলিপ

সাফল্য ও ব্যর্থতা

অন্যের ব্যর্থতা থেকে শেখো, যাতে নিজেকে ওই ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে না হয়।

টিউলিপ

ব্যর্থ হলে ঘাবড়ে যেও না কিম্বা মাঠ থেকে বেরিয়ে যেও না। সাইকেল চালানো শিখতে গেলেও আমাদের অনেকবার আছাড় খেতে হয়।   

টিউলিপ

‘ব’ এর পরেই তো ‘স’ আসে। ঠিক তেমনি, ব্যর্থতার পরেই তো সাফল্য আসে।

টিউলিপ

জীবনে অনেক নেগেটিভ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

কিন্তু প্রতিটি নেগেটিভ পরিস্থিতি কিম্বা প্রতিটি ব্যর্থতা আমাদের প্রত্যেক কে কিছু শেখাতে চায়।

যদি তুমি তোমার ব্যর্থতা থেকে সেই শিক্ষা অর্জন করতে না পারো কিম্বা ব্যর্থতার অর্থ বুঝতে না পারো তাহলে তোমাকে আবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হবে।

টিউলিপ

ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা শোনা বা পড়া খুবই দরকার। ছাত্রছাত্রীরা নানান রকম পরিবেশের মুখোমুখি  হয়ে থাকে। কিছু পরিবেশ পজিটিভ; আবার কিছু পরিবেশ নেগেটিভ। আর তাই তো নিয়মিত ১০ মিনিট হলেও মোটিভেশনাল কথা পড়া খুবই জরুরী।

সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, সবাইকে ভালো রাখো। চলো, সবাই মিলে একসাথে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনা ভরে উঠুক ঈশ্বরের আশীর্বাদে!  

2 thoughts on “ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোটিভেশনাল কথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট