মোটিভেশনাল কথা কতখানি কাজে দেয়?

মোটিভেশনাল কথা পড়ুন আর ভালো থাকুন।

খাবার কি আপনি একদিনেই খেয়ে নেন? আর পরবর্তী ৪-৫ দিন কি না খেলেও চলে? চলে না , তাই তো? একই রকম ভাবে আপনি যদি ভাবেন যে সপ্তাহে একদিন মটিভেশনাল কথা শুনবেন বা পড়বেন, তাহলে আপনি ভুল করছেন।

আপনার বাড়ী যেমন প্রত্যেকদিন পরিষ্কার করতে হয়, সেইভাবে মন কেও প্রত্যহ পরিষ্কার করতে হয়। যেমন আপনি প্রত্যেকদিন চান করেন, ঠিক তেমনি মনের ও প্রত্যহ চান করা প্রয়োজন। আর মন পরিষ্কার হবে মোটিভেশনাল কথা পড়লে বা শুনলে।

আপনি চান করে খাবার খেয়ে শরীর কে পরিষ্কার আর ফিট করে তুললেন। আর ঠিক তার পরের দিন ই আবার সেই শরীর পরিচ্ছন্নতা আর খাবার খোঁজে। কেন বলুন তো?

যেসব খাবার আমরা খাই, তার কিছু তো শরীর কাজে লাগায় আর বাকী তো বর্জ্য পদার্থ হিসেবে বেরিয়ে যায়। আর পরিবেশ থেকে ধুলোবালি লেগে শরীর পরিছন্নতা থেকে দূরে সরে যায়।

মন ও পরিবেশ থেকে অত্যধিক তথ্য সংগ্রহ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, নেগেটিভ শক্তির বশবর্তী হয়ে পড়ে। আর এইসব থেকে মন কে মুক্তি করতে হলে অনুপ্রানিত হওয়া খুবই প্রয়োজন।

আপনি যদি প্রত্যহ অনুপ্রানিত হতে চান, জুড়ে থাকুন এই সাইটে। আমরা প্রায়ই নিয়ে আসি নিত্যনতুন মোটিভেশনাল কথা, যা পড়লে আপনি হয়ে উঠবেন সতেজ,ফ্রেশ। পড়ে নিন সেইসব উৎসাহী কথাগুলোঃ

মোটিভেশনাল কথা

আমাদের প্রত্যেকের মনের মধ্যে যে সব ভাবনা গুলো খেলা করতে থাকে, সেই সব ভাবনাগুলো চেনের মতো লিঙ্ক হয়ে আছে। অর্থাৎ আমার মনের ভাবনাগুলোর সাথে আমার পরিচিত সমস্ত লোকের ভাবনাগুলোর চেন কানেকশেন আছে।

তনুশ্রী কর সেন

যদি তুমি ভ্রমন বিলাসী হও, আর টাকা না থাকে হাতে, তাহলে তুমি জ্ঞানের মধ্যে নিমজ্জিত থেকে মনের চোখ দিয়ে দেখো পৃথিবীকে।

তনুশ্রী কর সেন

মনের পাওয়ার শরীরের চেয়ে হাজার গুনে বেশী। তাই সেই শক্তিশালী মন দিয়ে শরীরের যত্ন নেওয়া যায়।

তনুশ্রী কর সেন

তোমার সবচে বড় ডাক্তার তুমি নিজে। কারন তোমার শরীরের প্রতিটি কোষকে তুমি তোমার মনের চোখ দিয়ে দেখতে পাবে। আর ক্ষতস্থানগুলোতে কাল্পনিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মলম লাগিয়ে দিতেও পারবে।

তনুশ্রী কর সেন

এই মনের জন্যই কিছু মহাপুরুষ ঈশ্বর শক্তিকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন।

তনুশ্রী কর সেন

প্রত্যহ সকালে ঘর বাড়ী যেমন পরিষ্কার করেন ঝাড়ু দিয়ে, ঠিক তেমনি মন এর আঙ্গিনা তেও ঝাড়ু দিন আর সব আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলুন।

তনুশ্রী কর সেন

নোংরা বাড়ীতে যেমন লক্ষ্মী দেবী থাকেন না, ঠিক তেমনি নোংরা মনে ঈশ্বর শক্তি থাকেন না।

তনুশ্রী কর সেন

প্রত্যেক ক্রিয়ারেই যেমন সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, ঠিক তেমনি আপনিও এই ইউনিভার্স কে যা দেবেন, ইউনিভার্সও আপনাকে ঠিক তাই ফিরিয়ে দেবে।

তনুশ্রী কর সেন

প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন আপনার শরীরের প্রতিটি কোষের ওপর।


তনুশ্রী কর সেন

আপনার শরীরের প্রতিটি কোষ যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাদের উদ্দ্যেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে ভালো রাখা। ধন্যবাদ জানান তাদেরকে।

তনুশ্রী কর সেন

মোটিভেশনাল কথা পড়ুন আর ভালো থাকুন

আপনি কি ভাবছেন আপনি ঠিক ই আছেন,তাহলে এইসব পড়ার কি দরকার? এই প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি।

আমি দেখেছি গ্রামে মানুষেরা মোটামুটি খেয়ে বেঁচে থাকলেই হবে- আএই ধারনা তেই থাকে। তাই তাদের কাজ করার সামর্থ্য থাকলেও তারা বসেই দিন কাটায়। কারন প্রত্যেকদিন ১০০ টাকা রোজগার হলেই তাদের চলে যায়।

আপনি কি এইভাবে বেঁচে থাকা কে ভালো থাকা বলেন? তাহলে তো আপনি এবার বলবেন- মন থাকলেই মন খারাপ ও হবে, ভালো ও হবে। এটা অবশ্য আপনি ঠিক ই বলছেন।

কিন্তু যদি আপনি এটাই স্বাভাবিক বলে বসে থাকেন, সেই খারাপ মন কে ভালো করার চেষ্টা না করেন, তাহলে আপনি ভুল করছেন।

শরীর থাকলেই রোগ আসবেই। ঠিক ই তো। কিন্তু তা বলে কি সেই রোগ কে সারাবার চেষ্টা না করে; ‘এটাই স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিয়ে বসে থাকেন? গ্রামের বেশীরভাগ মানুষেরা এই ভুলটাই করে থাকে।

কিন্তু আপনি এমন ভুল করবেন না। মোটিভেশনাল কথা পড়তে কোন টাকা লাগে না।

যে ওষুধ আপনি ফ্রি তে পাচ্ছেন, তা প্রত্যেকদিন মন কে দেবেন না কেন?

মোটিভেশনাল উক্তি

কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন
কৃতজ্ঞতা

প্রতিটি গ্রহ, নক্ষত্র নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছে। ওরা কাজ করছে শুধুমাত্র আপনার বাসস্থান কে ঠিক রাখার জন্য। আর আপনার বাসস্থান তো পৃথিবী। ধন্যবাদ জানান সেইসব গ্রহ, নক্ষত্রদের।

তনুশ্রী কর সেন

পরিবেশে বিষ আর অমৃত দুইই পাওয়া যায়। আপনাকেই বুঝে নিতে হবে কোনটা আপনার মনের জন্য বিষ আর কোনটা অমৃত।

তনুশ্রী কর সেন

ঈশ্বর আছেন আপনার শরীরের ভেতরে, কিংবা পৃথিবী ছাড়িয়ে সেই সুদূর মহাবিশ্বের মহাশুন্যে। অথচ আপনি ঈশ্বর কে খুঁজে চলেছেন পৃথিবীপৃষ্ঠের ওপরে মন্দির বা মসজিদ নামক কিছু কক্ষে।

তনুশ্রী কর সেন

আপনার শরীরের ভেতরেই আছে সেই মহাকাশ যা আপনি খুঁজে চলেছেন সেই সুদূরে। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গিটাকে বদলে ফেলুন। তাহলেই অনুধাবন করতে পারবেন ঈশ্বর শক্তিকে।

তনুশ্রী কর সেন

যখন সবকিছুই আপনার শরীরের ভেতরেই নিহিত আছে, তখন এতো দূরে হাত বাড়িয়ে সময় নষ্ট করছেন কেন? আপনার শরীরের ভেতরে যে অফুরন্ত শক্তি রয়েছে, তার দিকে কন্সেন্ট্রেট করুন। আর একেই তো বলে মেডিটেশেন।

তনুশ্রী কর সেন

প্রত্যেকদিন মোটিভেশনাল কথা পড়ুন আর ভালো থাকুন। মন রাখুন পরিষ্কার, সতেজ। শরীর ও মন সুস্থ রাখুন। নিজের খেয়াল রাখুন।

4 thoughts on “মোটিভেশনাল কথা কতখানি কাজে দেয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট