যৌবন নিয়ে উক্তি-জীবনের যৌবনের ২৫ টি সাবধান বানী

যৌবন

যৌবন নিয়ে উক্তি বলার আগে বর্তমানের তরুন তরুণীদের এটা জানা আবশ্যক যে যৌবনকাল হল তাদের জীবনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ভবিষ্যৎ কে সব দিক দিয়ে মজবুত করে গড়ে তোলার সময়। এই যৌবনকালই নির্ধারণ করে ভবিষ্যতে তুমি কতটা দৃঢ়, মজবুত, আর সুখী হতে পারবে।

তাই প্রতিটি তরুন তরুণীর যৌবন নিয়ে উক্তিগুলো শুধুমাত্র পড়াই নয় বরং সেইসব উক্তিগুলোর কথা মাথায় রেখে জীবন পথে এগিয়ে চলা উচিৎ।

যৌবন নিয়ে উক্তি

যৌবন নিয়ে উক্তি কিংবা কৈশোর নিয়ে উক্তি

এখানে আমি আজকাল কার তরুণীদের উদ্দ্যেশ্যে আমার কিছু নিজস্ব বানী তুলে ধরবো। আশা রাখছি এইসব বানীগুলো তোমাদের যৌবনের জটিলতা থেকে সাবধানে থাকতে সাহায্য করবে।

তোমার শরীর ও মনে যে হরমোন জনিত ঢেউ জেগেছে, তার স্বাদ তুমি পরেও নিতে পারবে। কিন্তু এই সময় টা আর ফিরে আসবে না। এই সময়ে তো তুমি তোমার ভবিষ্যতের পিলার তৈরি করবে। তাই এই সময় টাকে নষ্ট করো না।

টিউলিপ

নানান রকমের বাধা আসবে পথে। যেমন রাস্তাতে বাম্পার থাকে, সেই রকম এই ঢেউ গুলো তোমার জীবনের বাম্পার। এদেরকে সাবধানে অতিক্রম করবে।

টিউলিপ

তোমার মধ্যে আছে এক অফুরন্ত শক্তি। এই শক্তি কে নেগেটিভ সাইডে নিয়ে যেও না। এই শক্তি কে জ্ঞান আহরনে, সমাজের কল্যাণময় কাজে লাগাও।

টিউলিপ

তোমার শক্তি কে কোন দিকে তুমি পরিচালিত করবে সেই পাওয়ার তোমার হাতেই আছে। তাই প্রত্যেকটা কাজ ভেবেচিন্তে করো।

টিউলিপ

তোমার বাবা মা সাস্থ্যে, উচ্চতায়, জ্ঞানে তোমার চেয়ে হয়তো বড় কিম্বা হয়তো নয়। কিন্তু অভিজ্ঞতায় অবশ্যই তারা বড়। আর অভিজ্ঞতা আমাদের সবচে বেশী শিক্ষিত করে তোলে। তাই বাবা মা এর কথা কে অবহেলা করো না যেন।

টিউলিপ

দুটো মন দুরকম কথা বলবে। একটা মন বলবে- “শারীরিক প্রেম ও ঠিক আছে, করলে অসুবিধে কি? ছেলেটি নিশ্চয়ই ভালো, বেচারা আমাকে ছাড়া থাকতে পারছে না। আমার তার সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করা উচিৎ।“ এই মনের কথা একদম শুনবে না। এই মন তোমাকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।

টিউলিপ

কোন ছেলে যদি তোমার সাথে একান্তে মিট করতে চাই এই বয়সে মানে ১৬-২০ বয়সে, আর শারীরিক বন্ধনে লিপ্ত হতে চায়, তাহলে জেনে রাখো –নিঃসন্দেহে সেই ছেলেটি ভালো না।

টিউলিপ

বিবাহ হল শারীরিক বন্ধনে লিপ্ত হওয়ার সামাজিক স্বীকৃতি। একে অস্বীকার করো না। বিবাহের আগে কোন ছেলের সাথে শারীরিক বন্ধনে লিপ্ত হয়ও না। শরীর হল মন্দির। একে পবিত্র রাখা শুধু মেয়েদের কর্তব্যই নয়, ছেলেদেরও কর্তব্য।

টিউলিপ

জেনে রাখো- আমাদের সমাজে মেয়েরাই ধর্ষিতা হয়, ছেলেরা না। এখনো সমাজ পুরুষশাসিতই আছে। মেয়েদের কেই চরিত্রহীন বলা হয় ছেলেদের কে না।

টিউলিপ

হিংসার জ্বালে আবদ্ধ হয়ে সমাজ কে পুরুষদের শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য, সমাজ কে স্ত্রী শাসিত করে তুলো না যেন। তোমরা আজকের তরুণীরাই পারো সমাজকে উত্তম-শাসিত করে তুলতে। যে উত্তম সেই করবে শাসন। সেই উত্তম ব্যক্তি পুরুষ ও হতে পারে, আবার স্ত্রীও হতে পারে।

টিউলিপ

যে মুহূর্তে তুমি বিপদে পড়বে, সেই মুহূর্তে তুমি কিন্তু ঈশ্বরকে স্মরন করো। মন থেকে গভীরভাবে তাকে ডাকো আর বলো- হে ঈশ্বর, আমাকে সঠিক পথে নিয়ে চলো, হয় বিপদ থেকে রক্ষা করো নয় বিপদ কে মোকাবিলা করার সাহস দিও।

টিউলিপ

মনে রেখো দুষ্ট ছেলেদের শারীরিক শক্তির চেয়ে তোমার মানসিক শক্তির জোর অনেক গুনে বেশী। মন শরীর কে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু সেইভাবে শরীর পারে না মন কে কন্ট্রোল করতে। শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় মনের জোরে।

টিউলিপ

যৌবনের ইমোশেন গুলোকে যদি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারো, তুমি হবে সেরা। ইমোশেন এর ডাকে সাড়া না দিয়ে জীবনে লক্ষ্য স্থির করো। আর সেই লক্ষ্য পূরণে অনবরত অবিচল থেকে এগিয়ে যেও।

টিউলিপ

এই বয়স দুঃসাহসের বয়স। এই বয়স অসম্ভব কে সম্ভব করে তোলার বয়স। কিন্তু এই অসীম শক্তিকে সমাজের কল্যাণকর কাজে লাগাও। তোমার এই শক্তি কোন ছেলে বা মেয়ের চোখের জলের কারন যেন না হয়।

টিউলিপ

এই বয়স এর এই অসীম শক্তিই তো পারবে দেশ কে বেকারত্ত্বের হাত থেকে মুক্তি দিতে, পারবে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির আবিষ্কার করতে, পারবে জাতিধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক চোখে দেখতে।

টিউলিপ

যৌবনের বয়স পারবে ইমোশেন এর শক্তি কে অন্য শক্তি তে রুপান্তরিত করতে। এই বয়স তো বেশ জানে বিজ্ঞানের অস্ত্র কি, জানে শক্তির রহস্য।

টিউলিপ

যৌবনের পিচ্ছিল পথে স্লিপ কেটে যেন পড়ে না যাও, তাই কিছু অবলম্বন ব্যবহার করো। আর এই অবলম্বন হল গুরুজনদের কথা শোনা। তারা যেমনই হোক না কেন এই কথা অস্বীকার করা যায় না যে তারা অভিজ্ঞতায় বড়।

টিউলিপ

যদি অবলম্বন ব্যবহার না করো, একবার যদি যৌবনের শ্যাওলা তে পড়ে যাও, গড়িয়ে যাবে শ্যাওলার হাত ধরে। উঠে আসা খুব মুশকিল। যতক্ষণ না অবধি কেউ সেই শ্যাওলার ওপরে ব্লিচিং পাউডার ছড়াচ্ছে, ততক্ষন অবধি উঠে জীবনে চলা অসম্ভব।

টিউলিপ

একটা মেয়ে যেমন দুষ্ট ছেলের স্বীকার হতে পারে, একটা সহজ সরল শান্ত স্বভাবের ছেলেও কিন্তু এক দুষ্ট মেয়ের স্বীকার হতে পারে। যদি কোন মেয়ের তোমাকে দিয়ে তার খরচ বহন করার ইঙ্গিত দেখতে পাও, তাহলে জানবে মেয়েটি ভালো নয়। তুমি তোমার বাবা মা এর টাকা কে নয়ছয় করতে পারো না।

টিউলিপ

যৌবন বয়সকালে তরুন তরুণীদের মিথ্যে কথা বলার প্রবনতা বেড়ে যায়। আত্মরক্ষা করার জন্য, দুষ্টদের কাছে মিথ্যে বল, কিন্তু ভুল করেও বাবা মা এর কাছে মিথ্যে বল না যেন। একটা মিথ্যে বলতে গিয়ে, হাজার টা মিথ্যের সম্মুখীন হবে। আর যে বাবা মা তোমার জন্ম দিয়েছে, সেই বাবা মা এর কাছে তো অবশ্যই ধরা পড়বে একদিন।

টিউলিপ

এই বয়স টা অপজিট সেক্স থেকে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। যৌবনের আবেগে ঢাকা পড়ে যাওয়া চোখ দুটো বাবা মা এর ভালোবাসাকে দেখতে পায় না। তাইতো ভাবতে থাকে- বাবা, মা তাকে ভালোবাসে না, শুধু বকে আর পড়তে বলে।

“আর সামনের ছেলে টা Ph.D. করছে, মোবাইল ফোন কিনে দেবে বলেছে,সে তো কত্ত খেয়াল রাখে। প্রায়ই ফোন করে খোঁজ নেই, আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।“ যদি সত্যিই এতখানি ভালো হয়, বেশ তো বাবা মা এর সাথে পরিচয় করিয়ে দাও। তাকে তোমার বাড়ীতে আসতে বল।

যদি সে রাজী না হয়, তাহলে তো নিঃসন্দেহে সে খুবই বাজে ছেলে- হয়তো কোন বাজে মতলব আছে কিম্বা তোমার সাথে Time-pass করছে।

টিউলিপ

বাবা মা এর থেকে কিছু লুকিয়ো না। মনে রেখো তোমার ক্লাসমেট বা স্কুলের বন্ধুদের চেয়েও বড় বন্ধু তোমার বাবা মা। আজ যদি বাবা মা না থাকে, তাহলে পরিবারের কারো সাথে সব কথা শেয়ার করো। আর সেরকম কাউকে যদি না পাও শেয়ার করার মতো তাহলে ঈশ্বর কে তোমার বন্ধু বানাও। সব ঘটনা বল ঈশ্বর কে আর তারপরে বল- হে ঈশ্বর আমাকে সঠিক পথে নিয়ে চলো।

টিউলিপ

অনেক মেয়ে আছে যারা সহজ,সরল। যারা তার মা বাবার কাছ থেকে এইসব ফিলিন্স এর গুরুত্ব কি, কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় সেইসব নিয়ে কোন শিক্ষাই পাই নি। তারা জানেই না যে বাইরের জগত টা কতটা জটিল। কিছু পুরুষ মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তারা বাছাই করতে পারে না- কে ভালো আর কে খারাপ। তারপর ফাঁদে পড়ে চূড়ান্ত বিপদের সম্মুখীন হয়।

টিউলিপ

বাবা মা এর থেকে টাকা নিয়ে তাদের কে মিথ্যে বলে মেয়ে বন্ধু টিকে টাকা পয়সা দেওয়া বীরের কাজ নয়। যদি নিজেকে দানবীর বলে মনে করো তাহলে সেই বীরত্বের সংবাদ সমগ্র পরিবারের জানা উচিৎ। খারাপ কাজই মানুষ লুকিয়ে করে।

টিউলিপ

দানবীর হও। সাহায্য করতে ইচ্ছে করলে পড়ার বই, খাবার, টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করো তোমার ছেলে বন্ধুটিকে কিন্তু কোনভাবেই শরীর আর মন দিও না। আগে নিজের পায়ে দাঁড়াও। তারপরে বাবা মা বা গুরুজনদের অনুমতি নিয়ে সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাও। এই শরীর আর মন তোমার আত্মার ঘর। তাকে ভঙ্গুর করে দিও না।

টিউলিপ

চলো, আমরা সবাই মিলে এক অভিযানে নেমে পড়ি। ছেলে মেয়ে সমান, আর ইমোশেন, অনুভূতি গুলোকে নিয়ে কোন ছেলে বা মেয়ে খেলা করতে পারবে না। এ এমন এক অভিযান যেখানে মেয়েদের কে শেখানো হবে নিজের ফিলিংস গুলো কে কন্ট্রোল করতে, বেপরোয়া না হতে দিতে। আর ছেলেদের বা মেয়েদের কে শেখানো হবে তারা যেন কারো ফিলিন্স নিয়ে ছেলেখেলা না করে।

আর এই অভিযানে মেয়েদের যেমন বিশেষ ভূমিকা আছে ঠিক সেরকম ভাবে ছেলেদেরও ভূমিকা রয়েছে। কিছু তরুন ছেলে তো অবশ্যই আছে যারা আজও তরুণীদের যৌবন এর অনুভূতিগুলোকে সম্মান দেয় এবং সেইসব অনুভূতি গুলো ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখার পরামর্শ দেয়।

সেইসব ছেলেদের জন্য হোক এই অভিযান যারা ফোনে মেয়েটির মধুর কণ্ঠস্বর আর সুন্দর কথার জালে ফেঁসে যায়, আর ভাবতে থাকে মেয়েটি বোধ হয় সত্যিই অসহায়। আর দিনের পর দিন বাবা মা কে মিথ্যে কথা বলে তাদের টাকা পয়সা নয়ছয় করতে থাকে।

চলো, সেই সব মেয়েদের জন্য হোক এই অভিযান। যারা একটা ছেলের মিষ্টি কথায় ভুলে যায়। সময়ের পর সময় নষ্ট করে। পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করতে শুরু করে। আর সেই ছেলেটি নিছক মজা করে। মেয়েটি ভাবে সে তাকে সত্যিই ভালোবাসে, কয়েক বছর পর তাকে বিবাহ করে সুখের রাজ্যে পৌঁছে দেবে।

এইসব কিছুই অলীক কল্পনা মাত্র। এমন চক্করে ভুল করেও পড়া উচিৎ নয়। এই পৃথিবী তে কেউ নেই যে তোমাকে সুখের রাজ্যে পৌঁছে দিতে পারে। এমন কি তোমার বাবা মা ও তা পারবেন না। শুধুমাত্র তুমিই পারো তোমাকে সুখের রাজ্যে নিয়ে যেতে তোমার কর্মের সাহায্যে।

আশা করি, যৌবন নিয়ে উক্তি গুলো তোমাদের মনে শক্তি জোগাবে, জীবন পথে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরনা দেবে। এই পথ বড্ড পিচ্ছিল, তাই যে কোন নতুন স্টেপস নেওয়ার আগে অনেকবার ভাববে। আমি জানি, তোমরাই পারবে- ভবিষ্যৎ এ নারীদের কে অত্যাচার মুক্ত করতে। সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, সবাইকে ভালো রাখো।  চলো, সবাই মিলে একসাথে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনা ভরে উঠুক ঈশ্বরের আশীর্বাদে!  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট