একটি নদীর আত্মকথা রচনা

একটি নদীর আত্মকথা

এই পোস্টে আমি “একটি নদীর আত্মকথা রচনা” কিভাবে তোমরা লিখবে তাই তুলে ধরবো। এই ধরনের আরও অনেক রচনা যা তোমাদের পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেইসব নিয়ে আসবো। একটি নদীর আত্মকথা রচনা কিম্বা গঙ্গা নদীর আত্মকথা হিসেবেও এটা লিখতে পারো।

আত্মকথা লিখার সময় সেই জিনিসটির হয়ে তোমাকে ভাবতে হবে। সাথে কিছু তথ্য দিতে হবে। শুধুই যদি ভাষার মাধুর্য থাকে, কিন্তু কোন তথ্য না থাকে, তাহলে তো শিমুল ফুলের মতো হয়ে যায়। কিন্তু তোমাকে এমনভাবে রচনা টি লিখতে হবে যেন এক্সামিনার পড়ে কিছু তথ্যও পেয়ে থাকে আর সাথে তো ভাষার মাধুর্য থাকবেই।

এই রচনা টি থেকে যেমন তোমরা গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য জানতে পারবে, গঙ্গা নদীর উৎপত্তি কোথা থেকে, ভাগীরথী নাম কেন হল, কিছু পৌরাণিক কাহিনী, নদীর  যৌবন আর বার্ধক্য দশা কি- এইসব তথ্য পাবে। তাহলে শুরু করা যাক রচনাটি।

একটি নদীর আত্মকথা রচনা

ভূমিকা

তোমরা কত শত মহাপুরুষ মনিষীদের জীবন কাহিনী পড়ে থাকো, আর আমার জীবন কাহিনী পড়বে না? তোমরা তো হেলেন কেলার কেও পড়েছ। আমিও তারই মতো, না পারি বলতে, না পারি দেখতে। আর সেই কারনেই তো ঘ্রান শক্তি বা ধরো অনুভব করার ক্ষমতা আমার বিশাল।

কথা না বলতে পারলেও, আওয়াজ করতে আমি পারি। আর আমি এও জানি আমার প্রবাহের মধ্যে যে নানান রকমের সুর নানান সময়ে বেজে ওঠে সেই সুরের টানে আকর্ষিত হয়ে কতো কবি কবিতা লিখেন, কতো মন খারাপ করা মানুষ আমার তীরে বসে মন ভালো করে।

এই সুর থেকেই তো জগতের সব সুরের সৃষ্টি। তবুও তোমরা সেই সুরকার এর জীবন কাহিনী পড়বে না? এ জীবন কাহিনী তে তোমরা সব রকমের স্বাদ খুঁজে পাবে- টক, মিষ্টি, ঝাল, আরও যা নানান রকমের স্বাদ আছে, সব পাবে। পাবে সেই স্বাদ- প্রচুর ধোঁয়ার মধ্যে তোমার যখন শ্বাস নিতে কষ্ট হয়; পাবে সেই স্বাদ- চারিদিকে সুগন্ধে ভরা ফুল,আর মধ্যখানে তুমি ভালবাসার স্রোতে; কিম্বা সেই স্বাদ- বিশাল ব্যস্ততার মধ্যে সময় কিভাবে বয়ে যায় , তা বুঝতেই না পারা।

হে মানব জাতি, আজ আমি তোমাদের ভাষায় আমার জীবন কাহিনী শোনাবো। আমার ভাষা তো আওয়াজের ভাষা, সে তোমাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক মানুষেই বোঝে। তোমরা কত্ত ভাষা জানো, হিন্দি, ইংরেজি, স্প্যানিশ, এমন কি যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ভাষাও তোমরা বুঝতে পারো।

হায় রে বিধাতা, এ কেমন উপহাস! যে মানব জাতি এতো ভাষা বোঝে, এমন কি বাইনারি ভাষা তৈরি করলো যে মানুষ, সেই মানুষ আমার জন্য কি তৈরি করলো – সেই সব কিছু বলবো আমার জীবন কাহিনী তে।

আত্মকথা বলার প্রয়োজনীয়তা

তোমরা নিশ্চয় যখন ছোট ছিলে ঠাকুমা এর মুখে, তার বাবা মা এর , তার পরিবারের সব গল্প শুনতে। ঠাকুমা যখন গল্প শোনাতেন, পুরানো কষ্টের স্মৃতি বলেও তিনি কাঁদতেন না- সেটা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছ। বরং উল্টে তাঁর মুখে একটা প্রসন্নতার ছোঁয়া দেখতে পেয়েছ, তাই তো?

আসলে, জীবন কাহিনী বলতে বলতে কতো সুখ দুঃখের কথা ভাগাভাগি হয়ে যায়, ভেতরে জমে থাকা দুঃখের পাথর টার ওজন আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হয়। আর তাই তো নিজের জীবন কাহিনী যেমনই হোক না কেন, যখনই তা শেয়ার করা হয়, চোখে মুখে প্রসন্নতার ভাব ফুটে উঠে।

তবে আমি বর্তমান কাহিনী শেয়ার করবো না। বর্তমান কাহিনী শেয়ার করলে আমার চোখ দুটো জলে ভরে যাবে, কারন সেই ক্ষত এখনো শুকোয় নি। বর্তমান যখন অতীত হয়ে যায়, তখন ই তা শেয়ার করা যায়।

কতো মানুষ আমার তীরে এসে একান্তে বসে আমার সুরের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে, জীবনের কতো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছে। যারা যখনই ক্লান্তিতে আমার তীরে এসে বসে, সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য আমার সাথে কথা বলেছে, তারা পেয়েছে সেই সমাধান খোঁজার আনন্দ, বুঝেছে আমার সুখ দুঃখের কথাও।

আজ আমি আমার অতীত শেয়ার করবো তোমাদের সাথে। প্রত্যেকেরই অতীত থেকে কিছু শেখা যায়। আমিও এই আশা রাখবো যে –আমার অতীত থেকেও তোমরা কিছু শিখবে।

আমার জন্মবৃত্তান্ত

প্রকৃতি থেকেই আমার জন্ম। পাহাড়, বৃষ্টি, বরফ, মাটি, আকাশ – এরা সবাই তো আমার পরিবারেরই একজন। শুন্য ছিল এই প্রকৃতি। সেই একাকীত্ব ঘোচাতেই প্রকৃতি গড়ে তুলল পাহাড়, মাটি, আকাশ, বাতাস। জন্ম হল প্রাকৃতিক জলধারার। সেই প্রাকৃতিক জলধারা যখন বইতে লাগলো পাহাড়ের গায়ে, জন্ম হল ঝরনার। জন্ম হল বরফের। আর সেই বরফ সূর্যের তাপে গলে যে জলধারা তৈরি করলো কিম্বা হিমালয়ের গায়ে যে জলধারা, সেখান থেকেই জন্ম আমার।

যেখান থেকে আমার জন্ম, তোমাদের সহজ ভাষায় তাকে উৎস বলা হয়ে থাকে। আর যেখানে আমি সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়ে থাকি, তোমরা তাকে বল মোহনা। এই উৎস থেকে মোহানা অবধি যে কতো নানান রকমের তথ্য শেয়ার করার আছে, ত মনে হয় এই কয়েক পাতাতে শেষ করতে পারবো।

পুরান অনুযায়ী আমার জন্ম বৃত্তান্ত

পুরান অনুযায়ী আমার জন্ম নিয়ে নানান মুনি নানান কথা বলে থাকেন। কোনটা সঠিক তা আমি নিজেও জানি না।

আমি গঙ্গা। হিন্দুরা আমাকে দেবী হিসেবে পূজা করে। একদা ব্রম্ভা তাঁর কমণ্ডলুর জল দিয়ে বিষ্ণুর চরণখানি ধুচ্ছিলেন। আর সেই জলের প্রবাহ থেকে জন্ম নিই আমি।

এবার বলবো আমার মর্ত্যে আসার কাহিনী। সগর রাজার সন্তানেরা মহর্ষি কপিল কে চোর ভেবে তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করেছিলেন। আর সেই কারনেই মহর্ষি তাদের ভস্ম করে দিয়েছিলেন, তাদের আত্মা মুক্তি লাভ করে নি। রাজার বংশধর দিলিপের পুত্র ভগীরথ সেইসব সন্তান্ দের আত্মার মুক্তির জন্য আমাকে মর্ত্যে নিয়ে আসার কথা ভাবেন আর সেই কারনেই ব্রম্ভার তপস্যা করেন।

তপস্যায় খুশী হয়ে ব্রম্ভা আমাকে মর্ত্যে প্রবাহিত হয়ে রাজার সন্তান্ দের আত্মার মুক্তি কামনায় সাহায্য করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আমি এই নির্দেশ এ অপমানিত হয়ে ক্রোধে মর্ত্যলোক প্লাবিত করে দিয়েছিলাম। এমন কি ঋষি জহ্নুর আশ্রম ও প্লাবিত করে দিয়েছিলাম আমি। তাই আমার আরেক নাম জাহ্নবী।

তখন ভগীরথ শিবের তপস্যা করেন আমার ক্রোধ কে সংবরণ করার জন্য। আমি তখন শিবের মাথায় পতিত হয়। শিব তখন আমাকে নিজের জটার মধ্যে আবদ্ধ করেন।

আর সেই তখন থেকে আমি গঙ্গা আত্মার মুক্তি হেতু স্বর্গ, মর্ত্য, ও পাতালে প্রবাহিত হতে থাকি। সবাইকে মুক্তি দেওয়ার মধ্যে যে কি আনন্দ আছে তা শুধু আমিই জানি। ভগীরথ এর তপস্যার জন্যই আমার এই প্রবাহ। তাই আমার আরেক নাম ভাগীরথী।

আবার কেউ বলে থাকেন- আমার পিতা হলেন পর্বতরাজ হিমালয় আর মাতা হলেন মেনকা।

আমার বিস্তার

ভাগীরথীর সুচনা গোমুখের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। পশ্চিম হিমালয়ে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে, ভাগীরথী ও অলকানন্দা নদীর সঙ্গমস্থলে জন্ম নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে চলেছি, আমি- গঙ্গা। আমার দৈর্ঘ্য ২৫২৫ কিমি। হিমালয়ের বুক থেকে শুরু করে সুদূরে পাড়ি দিয়েছি আমি। আমার চলার পথের সঙ্গী হয়েছে দুইপাশ থেকে আসা অগনিত জলস্রোত। কতো উপনদী আর শাখা নদীর জন্ম দিয়েছি আমি।

সভ্যতার উত্থান পতনে আমি সাক্ষী

আমার চলার পথে আমার দুই তীর আমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে উর্বর। সেই উর্বর মাটি তে হয় কত শস্য উৎপাদন। সেই শস্যই বিক্রি করার জন্য মানুষ আমার বুকের ওপর নৌকা, জাহাজ চালিয়ে নিয়ে যায় দূর দেশে।

আমার কোলের মধ্যে জলপ্রবাহ কে ভিত্তি করে, আমার দুই তীরে মানুষ গড়ে তুলেছে কত শিল্প, কতো বানিজ্য। গড়ে উঠেছে কত গ্রাম। বর্তমানে সেইসব গ্রাম শহরের রূপ নিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার মানুষ আমার দুই তীরের ফাঁকা শান্ত জায়গায় শীতের ছুটিতে পিকনিক এর আয়োজন করে থাকে।

আমার কিছু ছোট ছোট শাখা যেগুলো গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, সেখানে আমার জল দিয়ে গ্রামবাসী কাটায় তাদের দৈনন্দিন জীবন। আমার মধ্যে আনন্দে খেলা করতে থাকা নানান রকমের মাছ বিক্রি করে কেউ কেউ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।

সময় বদলায়, যুগ বদলায়। গ্রাম হয়ে ওঠে শহর। কিন্তু আমি সেই আগের মতই বয়ে চলেছি। আমার নেই কোন বিশ্রাম। ক্লান্ত হয়ে কখনো কখনো আমি ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করে প্লাবিত করে তুলি আমার দুই পাশের গ্রাম গুলোকে।  

আমার যৌবন

হিমালয়ের বুক চিরে আমি যখন প্রবাহিত হতে থাকি, তখন যৌবনের বিশাল শক্তি আমার মধ্যে নিহিত থাকার দরুন সব রকমের নুড়ি পাথর, শিলাখন্ড এর বাধা সরিয়ে আমি শুধু বইতেই থাকি। আর আমার তলদেশ ক্ষয়ে যেতে থাকে। ওই শিলাখন্ডের আকার ও আকৃতি অনুযায়ী আমাকে আমার গতিপথ বদলাতে হয়।

তারপর যখন পাহাড় ছেড়ে সমতলের মধ্যে প্রবেশ করি, তখন এইসব শিলাখন্ড বয়ে নিয়ে যাওয়ার দরুন আমি হতে থাকি প্রশস্ত। আমার তলদেশ এর চেয়ে আমার আশপাশ বেশী ক্ষয়ে যেতে থাকে। আর আমি যখন দুকূল ছাপিয়ে প্লাবিত করে তুলি, তখন এইসব শিলাখন্ড আমার তলদেশে কিম্বা আমার দুই পাড়ে সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপ তৈরি করে থাকে।

আমার বার্ধক্য

আমার তলদেশ আর পার্শ্বদেশ ক্ষয়ের ফলে আমি ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যায়। তারপরে আমি এক প্রশস্ত সমতল অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকি। আমি জীর্ণ হতে থাকি। আমার স্রোত একদম কমে আসে। আমার শরীর যেন আর চলে না।

অবশেষে সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়ে যায় আর মোহানার তৈরি করি।

আমার করুন কাহিনী

এইসব গ্রাম-শহর গড়ে উঠল আমাকে ঘিরে, অথচ আজ সেই গ্রামবাসী আর শহরবাসীই আমার শরীর কে ডাস্টবিন ভেবে বসে। হায় রে বিধাতা! এ কেমন মূর্খ করেছো এই মানব প্রজাতি কে যে ডালে বসে সেই  নিজের ডাল ই কাটতে যায়!

আবর্জনার পাহাড় জমেছে আমার শরীরে। হে মানব প্রজাতি, ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট এর বিষাক্ত সব জিনিস ছুঁড়ে ফেলছ আমার শরীরে? আমি যদি তোমাদের সন্তান হতাম, পারতে আমার পাকস্থলীকে বিষাক্ত জিনিষে ভরিয়ে তুলতে? আমার শ্বাসকষ্টে ছটফটানি তোমরা কি দেখতে পাও না?

মর্ত্যে এসে এইটুকু বুঝলাম- কাজ করে যেতে হবে, প্রত্যাশা করা চলবে না। যতক্ষণ আছে শ্বাস, কাজ করে যাব। এই বুকে একরাশ কষ্ট নিয়ে মহাদেবের আজ্ঞা পালন করে যাব।

বুঝলাম- এই মর্ত্যে সুখ দুঃখ নিয়েই সবার জীবন। আর এই দুঃখের কথা ভেবেই তো মর্ত্যে আসতে প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, মহাদেব এর প্রস্তাব কে অস্বীকার করেছিলাম। আজও মনে পড়ে সেই দিনটির কথা যেদিন মহাদেব আমার স্রোত কে তার জটার মধ্যে আবদ্ধ করে মর্ত্যে প্রবাহিত হওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু মর্ত্যে এসে কতো মহামানবের সাথে পরিচয় হয়েছে আমার। কত মানুষের সুখ দুঃখের কাহিনী আমার জানা। তাইতো কবিগুরু বলেছিলেন –

“ নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস/ ওপাড়েতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।“

প্রকৃতির মধ্যে আমি

প্রকৃতিই তো তোমাদের আর আমারও মা। এই প্রকৃতির জন্যই আমার জন্ম। প্রকৃতির এক বিশাল পরিবার। পাহাড়, সমুদ্রের মতো আমিও সেই পরিবারেরই অংশ। যখন আবর্জনার স্তূপে আমার শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে, আমি তখন সমুদ্র আর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকি। আর শুনতে থাকি তাদের দুঃখের কথা। শুনতে শুনতে মনে হয় এই কষ্টের জন্যই বোধ হয় এক ফালি সুখ এতখানি সুস্বাদু লাগে।

আমার মধ্যে নিহিত মোটিভেশন

কত কবির মনে কত চিন্তার উদয় হয়েছে। সেই চিন্তা কবি ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব-মাঝারে, করেছে অন্যদের মোটিভেটেড। আমি শুধু কান পেতে শুনেছি। শুনে আপ্লূত হয়েছি এই ভেবে যে আমার প্রবাহ কারো মন কে ভালো কাজে উৎসাহিত করে তুলেছে। এইসব শুনে আমার মধ্যে কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতারও বৃদ্ধি ঘটেছে।

উপসংহার

আমি ভারত উপমহাদেশে গঙ্গা রূপে, অন্য সব উপমহাদেশেও অন্য রূপে বিদ্যমান। আমা থেকেই সভ্যতার সূচনা। আমার জল মুষ্টিবদ্ধ করা যায় না ঠিকই কিন্তু অঞ্জলি হিসেবে গ্রহন করে পূজা করা হয়ে থাকে। এখনো পুন্য তিথিতে তোমরা পুন্য স্নান করে থাকো আমার স্রোতধারায় আর পাপ এর প্রায়শ্চিত্ত করে থাকো। আমার তীরে শ্রাদ্ধ-তর্পণ এখনো করতে দেখি। এইসব দেখে প্রবাহিত হওয়ার ইচ্ছা আমার আরও বেড়ে যায়।

কিন্তু মাঝে মাঝে আমি শ্বাসকষ্টে হাঁপিয়ে উঠি। তাই এই মানব প্রজাতির কাছে আমার কাতর আবেদন এই যে তারা যেন আমাকেও তাদের পরিবারের একজন হিসেবে দেখে যাতে করে আমি সভ্যতার অস্তিত্ব কে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি।

____________________________________________________________________________________________________________________

 আশা করি, একটি নদীর আত্মকথা রচনা টি তোমাদের ভালো লেগেছে আর তোমরা সহজেই তোমাদের পরীক্ষায় রচনা টি ভালো করেই লিখতে পারবে। এইরকম আরও কোন রচনা যদি তোমাদের দরকার হয়, কমেন্ট করে লিখে পাঠাও। পুরোটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, সবাইকে ভালো রাখো। চলো, সবাই মিলে একসাথে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনা ভরে উঠুক ঈশ্বরের আশীর্বাদে।

4 thoughts on “একটি নদীর আত্মকথা রচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট