বই পড়ার উপকারিতা গুলো কি কি?

মন ভালো রাখতে বই পড়ো

কি ভাবছ –কবে এই বই পড়া থেকে রেহাই পাবে? প্রচুর পড়তে হয় বুঝি? ক্লাসের পড়া, কম্পিটেটিভ পরীক্ষার পড়া, এতো কিছুর পরেও বাবা মা প্রত্যেকদিন গল্প বই পড়তে বলেন? কেন জানো? উনারা জানেন বই পড়ার উপকারিতা কতখানি।

তুমি কি বাড়ীতে একলা, মানে তোমার কোন ভাই-বোন নেই? খেলার সাথীও নেই? সেইজন্যই তো বাবা মা রা বই পড়ার অভ্যেস তোমার মধ্যে গড়ে তুলতে চায় যাতে তুমি একাকী অনুভব না করো।

বই তো তোমার আমার সকলের বন্ধু। বই এমন এক বন্ধু যা কখনো বিশ্বাস ঘাতকতা করে না। বই এমন এক বন্ধু যে তোমার মধ্যে অজস্র অনুভূতির সঞ্চার করতে সক্ষম।

ছাত্রজীবনটাকে আজীবন ধরে রাখতে পারলেই জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর। বইএর তো কোন নেই শেষ। শুধু নিয়মিত পড়ার অভ্যেস টা তুমি তৈরি করে ফেলো। ক্রমশই তা নেশাতে পরিনত হয়ে যাবে। বই পড়ার নেশা সর্বশ্রেষ্ঠ নেশা।

কি বই পড়বেন?

সর্বত্রই বই দেখছো? স্কুলের ক্লাসরুমে, লাইব্রেরীতে, আবারে ক্লাস করে সন্ধ্যেবেলা বাড়ী ফিরে সেখানেও বই? ঘুম থেকে উঠেই চোখের সামনেই সাজিয়া রাখা আছে বইএর আলমিরা টা?

খুঁজে পাচ্ছো না রবিবারের সকালে আলমারি থেকে কোন বইটা নেবে? কোন বইটা পড়বে? বাবা মা তো শুধু বলে দেন- “ কিছু একটা পড়ো, তোমার ইচ্ছেমতো যে কোন একটা বই পড়ো। 

উনারা তো ঠিকই বলেন। যখন আমাদের ওপর কেউ জোর করে থাকেন কিংবা জোর করে একটা বই পড়তে বলেন, তখন কিন্তু আমাদের পড়ার ইচ্ছেটা অনেকটাই কমে যায়। নিজের ইচ্ছেমতো যে কোন বই পড়লে, ইচ্ছেটা অনেকখানি বেড়ে যায়।

সব বই থেকেই কিছু না কিছু শেখা যায়। সব ধরনের বইই পড়তে পারো, শুধু মাত্র নেগেটিভ শক্তি তে ভরপুর বইগুলো বাদ দিয়ে। যদি তুমি এতটাই বেশী পজিটিভ মনোভাবের যে যেকোনো রকমের নেগেটিভ শক্তি তোমার মন কে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত না করে কিংবা যত বড় নেগেটিভ শক্তিই হোক না কেন যদি তা তোমাকে বিচলিত না করতে পারে, তাহলে তো তুমি যে কোন বই পড়তে পড়।

যদি হাতের কাছে E-book পেয়ে থাকো, তাহলে তাই পড়ো। যদি কোন ব্লগ পেয়েছ তোমার স্মার্ট ফোনে তাহলে সেটাই পড়ো। বইএর মধ্যে বিচার করবে না।

The only thing you absolutely have to know is the location of the library.

Albert Einstein

তোমাকে শুধু বইএর লোকেশেন গুলো জানতে হবে। স্কুলের বিশাল লাইব্রেরীর কোন জায়গায় কোন বইটি পাওয়া যায়, সেটি জেনে রাখা আবশ্যক।

তোমার বাড়ীতে পড়ার পরিবেশ আনতে হলে আজই একটা রুম কে স্টাডি রুম বানিয়ে ফেলো। কিছু পছন্দের বই কিনে সাজিয়ে রাখো আলমারিতে। আর প্রত্যেকদিন ৫ পাতা হলেও পড়ার অভ্যেস করো।               

A room without books is like a body without a soul.

Cicero

বই পড়ার উপকারিতা

বই কেন পড়বে? দেখে নেওয়া যাক বই পড়ার উপকারিতা গুলোঃ

১। জ্ঞান বৃদ্ধি

বই পড়ার উপকারিতা-জ্ঞান বৃদ্ধি। যতই পড়বে, ততই জ্ঞান বাড়বে।
পড়তে থাকো

Let us remember: One book, one pen, one child, and one teacher can change the world.

Malala Yousafzai

প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষাই পৃথিবীকে পরিবর্তিত করতে পারে। আর শিক্ষা আসে বই,কলম এবং শিক্ষক থেকে। শিক্ষা আসে পড়াশুনো থেকে। পড়াশুনো হয় বই থেকে। বইএর কোন অভাব নেই। তাই শেখার ও কোন শেষ নেই।

বই পড়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে জ্ঞান বৃদ্ধি করা হল সবচে বড় উপকারিতা।

২। নুতন জ্ঞান সংগ্রহ

বই পড়ার উপকারিতা- নতুন কিছু জানতে পারা।
জ্ঞান

The more that you read, the more things you will know. The more that you learn, the more places you’ll go.

Dr. Seuss​​

নতুন নতুন তথ্য তো বই থেকেই পাওয়া যায়। দূর দূরান্তের মানুষ টার ব্যর্থতার জীবন কাহিনী ও বই তেই পাওয়া যায়। বাড়ীতে সোফাতে আরাম করে বসে জানতে পারবে আমেরিকা, জাপান  কিংবা জার্মানের উন্নত অস্ত্র বিদ্যা নিয়ে।

জানতে পারবে আইনস্টাইন, স্টিভ জোভস, বিল গেটস ইত্যাদি এর জীবন কাহিনী। জানতে পারবে হেলেন কেলার এর জীবন যুদ্ধের কথা, ডঃ আব্দুল কালামের জীবন সংগ্রামের কথা, আরো কতো কি।

৩। শারীরিক উন্নতি

২০১৩ সালে বেশ কিছু জনের ওপর গবেষণা করা হয়েছিল। যারা এই গবেষণাতে অংশগ্রহন করেছিল তারা টানা ৬ দিন ধরে  বেশ রহস্যে ভরপুর গল্প বই পড়ে যাচ্ছিল। তাদের ওপর MRI Scan করে দেখা গিয়েছে যে – যতই গল্প রহস্যের দিকে এগোচ্ছে ততই তাদের ব্রেন এর কোষগুলো উদ্দীপনা তে ভরপুর হয়ে উঠছে।

বই পড়লে Dementia এবং Alzheimer’s নামের এই দুটি রোগ অনেক দূরে থাকে। Dementia হল স্মৃতিভ্রংশ, উন্মাদ। Alzheimer হল এক ধরনের বার্ধক্যজনিত স্নায়বিক অবক্ষয়মূলক রোগ।

৪। মানসিক উন্নতি

প্রচুর মন খারাপ? কারো সাথে শেয়ার করতে পারছ না? বতাহলে বই পড়। এই বিশাল পৃথিবীতে দেখবে তোমার মতো আরও অনেকেই মন খারাপে ভুগছে। তাদের কাহিনী পড়।

মন খারাপ থেকে উঠে এসে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো অবধি তাঁদের ইতিহাস পড়ো। দেখবে পড়তে পড়তে তুমি ভুলেই যাবে যে তোমারও মন খারাপ ছিল।

তখন তোমার অবশ্যই মনে হবে সে যদি জীবনে এইরকম দুর্দিন কাটিয়ে উঠতে পারে, তাহলে তুমি কেন পারবে না? এই যে মনের মধ্যে তুমি একটা চেষ্টা করবে মন খারাপ কে দূর করার- এতেই তোমার মানসিক উন্নতি হবে।

৫। কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি

যখন তুমি কোন বই পড়ো, তোমার মনের মধ্যে বই এ লিখা কাহিনী গুলো ভাসতে থাকে। যেমন ধর- যদি বই এর মধ্যে লিখা থাকে-“ সুন্দর প্রকৃতি, পূর্ণিমার চাঁদ ঠিকরে পড়ছে মেয়েটির কপালে, মেয়েটি হাতের মধ্যে দুই-চারটে জোনাকি নিয়ে খেলা করছে, খোলা আকশের নিচে , ছাদে দাঁড়িয়ে।“

নিশ্চয় তুমি এতক্ষনে এই ঘটনার ছবি এঁকে নিয়েছ তোমার মনের মধ্যে। এইভাবেই তো মন ভাবতে শিখে। এইরকম প্রকৃতির সৌন্দর্য সম্পর্কিত বই পড়লে, কিছু বই পড়ার পর তুমিও নতুন নতুন সাজে প্রকৃতিকে মনের মধ্যে আঁকতে শিখবে।

৬। লিখার ক্ষমতা বাড়ায়

বই পড়ার উপকারিতা- লেখার ক্ষমতা বাড়ায়। যত তুমি পড়বে তত জানবে, আর যত জানবে,তত লিখতে পারবে।
বই পাঠ

বই পড়তে পড়তে মনের মধ্যে যখন সেই পড়াগুলোকে আঁকতে শিখবে, তখন সেই গুলো নিজের ভাষায় খাতা আর কলম নিয়ে বসে চেষ্টা করলেই লিখা ফুটে আসবে খাতার সাদা পাতাগুলোতে।

প্রচুর বই পড়ার পরে তুমি নিজে থেকে নতুন নতুন ভাবনা ভাবতেও পারবে। সেই ভাবনাগুলো কে লিখে ফেলো খাতার মধ্যে। তাহলেই বুঝতে পারবে যে বই তোমার মধ্যে কতখানি পরিবর্তন এনেছে।

৭। স্মৃতি শক্তি বাড়ায়

গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে বই পড়লে স্মৃতি শক্তি বাড়ে। কিন্তু তার প্রমান তোমরা নিজেরা করে দেখতে পারো।

বই পড়লে কেন স্মৃতি শক্তি বাড়ে?

কারন- তুমি যখন ২০০ পাতার একটা বই পড়, প্রথম পাতায় বলা হয়েছিল আইনস্টাইন এর ছোটবেলা। শেষের দিকের কিছু পাতায় বলা হয়েছে তাঁর আবিষ্কৃত ফর্মুলা এবং তাঁর দেওয়া কিছু অমুল্য জীবন বানী।

বইএর পাতাগুলো চেন এর মতো। প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের লিঙ্ক আছে। আর তাইতো তুমি যখন শেষ পাতায় পৌঁছে যাও, তখনো অদ্ভুত ভাবে প্রথম পাতা টা তোমার মনে থাকে।

এইভাবে প্রচুর বই পড়তে পড়তে ক্রমশই মনে রাখার ক্ষমতা বাড়তে থাকে।  

৮। স্ট্রেস কমায়

প্রচুর চাপে আছো? ক্লাসের পড়ার বই কিছুই মাথায় ঢুকছে না? তাহলে কিছুক্ষণের জন্য পড়ার বই ছেড়ে গল্প বই পড়। কিংবা অফিসের কাজে খুব চাপ? মানসিকদিক দিয়ে খুবই ক্লান্ত? তাহলে কিছুক্ষণের জন্য গল্প বই এ মন দাও।

রিলাক্স মুডে বিছানায় বসে গল্প বই পড়। কিন্তু গল্প বই পড়লে স্ট্রেস কমে কেন?

গল্প বই তুমি তোমার মতো করে পড়বে। কেউই তোমার পরীক্ষা নিতে আসবে না এমন কি একটা প্রশ্ন অবধি কেউ করবে না। কেউ তোমায় বলবে না –আজ ই পুরো বই শেষ করতে হবে। গল্প বই পড়াতে অবাধ স্বাধীনতা। যেখানে স্বাধীনতা সেখানে স্ট্রেস তো কম হবেই।

৯। হতাশা কমায়

মন খারাপ করতে করতে, সেই মন খারাপ এখন তোমায় হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে? আর তুমি সব কিছু তোমার মনের মধ্যে যত্ন সহকারে গচ্ছিত রেখেছ? এর ফলে মন ভেঙ্গে পড়ছে?

ভাঙবেই না বা কেন? মনের ই কি দোষ? মন কি তুমি কি দিয়েছ? শুধু নেগেটিভ কথা, নেগেটিভ চিন্তা, আর হিংসা, প্রতিশোধের স্পৃহা? নেগেটিভিটি তে ভরপুর মন হতাশার ই তো জন্ম দেয়।

কিন্তু বই পড়লে হতাশা কিভাবে কমবে?

তুমি যখন বই পড়, তুমি অনেক পজিটিভ জিনিষ পড়। এই পজিটিভ জিনিষগুলো তোমার মনে গিয়ে জমে থাকা নেগেটিভ জিনিষগুলোর সাথে যুদ্ধ করে। তুমি যখন প্রচুর পরিমানে বই পড়, দিনের পর দিন বই পড়তে থাকো, প্রচুর পরিমানে পজিটিভ জিনিষ তোমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করে।

যখন এই পজিটিভ জিনিষের বা পজিটিভ কথাগুলোর পরিমান নেগেটিভ এর চেয়ে বেশী হয়ে যায় তখন পজিটিভিটি যুদ্ধে জয়ী হয়। আর তখনই হতাশার মৃত্যু ঘটে।

১০। আয়ু বাড়ায়

A reader lives a thousand lives before he dies.

George R.R. Martin​

বই পড়লে মানসিক, শারীরিক উন্নতি হয়, হতাশা দূরে সরে যায়, স্ট্রেস কমে যায়। হতাশা আর স্ট্রেস যদি জীবন থেকে সরে যায়, আয়ু তো বাড়বেই।

১১। ঘুমে সাহায্য করে

I do believe something very magical can happen when you read a good book.

J.K. Rowling

A book is a dream that you hold in your hand.

Neil Gaiman​

কিছুতেই ঘুম আসে না? না, না ঘুমের ওষুধ খাবেন না। ১ থেকে ১০০ গোনারও দরকার নেই। শুধু দিনের বেলা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম আর রাত্রে বেলা ডিনার সেরে পর টিভি বা মুবাইল না দেখে বই পড়তে থাকো।

বই পড়া হল ঘুমের সবচে বড় ওষুধ।

১২। স্মার্টনেস বাড়ায়

Reading is a conversation. All books talk. But a good book listens as well.

Mark Haddon

এতজনের জীবন কাহিনী পড়ে, এতো জ্ঞান সংগ্রহ করলে তাঁর কিছু তো মন কে প্রভাবিত করবেই। মন তখন স্বপ্ন দেখবে –নিউটন হওয়ার কিংবা রবীন্দ্রনাথ হওয়ার। আর মন যখন এতো বড় স্বপ্ন দেখার সাহস করে ফেলবে, তখন সে এমনিই নিজের অজান্তেই স্মার্ট হয়ে যাবে।

১৩। পজিটিভ শক্তি বাড়ায়

মন যখন স্মার্ট, সাহসী, বড় বড় স্বপ্ন দেখে, বই পড়ে পড়ে শুধু পজিটিভ কথা বার্তা মস্তিস্কে পৌছায়, তখন তো সেই মনের মধ্যে পজিটিভ শক্তির সৃষ্টি হবেই।

১৪। কমিউনিকেশেন স্কিল বাড়ায়

বই পড়ে পড়ে স্মৃতি শক্তি তো বাড়িয়েই নিয়েছ।

তাই ইংরেজি বা বাংলা যে ভাষাতেই বই পড় না কেন, তুমি যেহেতু লক্ষ্য লক্ষ্য বাক্য পড়ছ, আর এই বাক্য গুলো তোমার মনের মধ্যে থেকে যাওয়ায় তোমার কমিউনিকেশেন স্কিল ও বেড়ে যাবে।

১৫। ওয়ার্ড স্টক বাড়ায়

বই পড়লে ওয়ার্ড স্টক বাড়ে –এইসবের প্রমান নিশ্চয় চায় না? যত বেশী বই পড়বে তত বেশী শব্দ তুমি জানতে পারবে।

১৬। ভ্রমনে সাহায্য করে

That’s the thing about books. They let you travel without moving your feet.

Jhumpa Lahiri

বেড়াতে যেতে খুব ইচ্ছে করে? সাহসে কুলোয় না? কিংবা টাকার জন্য যেতে পারো না? ভ্রমন সম্পর্কিত বই পড়। দেখবে পাহাড়, পর্বত, নদী, সমুদ্র সব কিছু তোমার চোখের সামনে ভাসবে।

আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে আমি বই পড়ে বা গল্প শুনে হিমালয় এর ছবিও মনের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারি খুব অনায়াসেই।

A reader lives a thousand lives before he dies.

George R.R. Martin​

Books are the plane, and the train, and the road. They are the destination and the journey. They are home.

Anna Quindlen

১৭। একাগ্রতা বাড়ায়

In the end, we’ll all become stories.

Margaret Atwood​​

প্রথমদিকে বই পড়তে ভালো যদি নাও লাগে , টাও জোর করে ৫ পাতা হলেও পড়ো। ধীরে ধীরে দেখবে- যখন তুমি গল্পের মধ্যে ঢুকে যাবে বা গল্পতে ইন্টারেস্ট পাবে তখন তোমার মনে হবে –‘এরপরে কি হবে’?

আর এই খিদে তোমাকে পাতার পর পাতা পড়তে সাহায্য করবে। এই যে তুমি পাতার পর পাতা পড়বে, এতেই তোমার একাগ্রতা খুবই বাড়বে।

Books are a uniquely portable magic.

Stephen King

১৮। একাকিত্ব ঘোচায়

You know you’ve read a good book when you turn the last page and feel a little as if you have lost a friend.

Paul Sweeney

বাড়ীতে কেউ নেই? একাকীত্ব অনুভব করছো? তাহলে বই এর সাথে বন্ধুত্ব করো। বই এমন এক বন্ধু যে তোমার মধ্যে সব রকমের অনুভূতির সৃষ্টি করবে। বই এমন এক বন্ধু যে তোমাকে ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে সাহায্য করবে।

বই পড়ার অভ্যেস থাকলে –এই বই তোমার বার্ধক্যের দুঃখ ঘোচাতে সাহায্য করবে, বার্ধক্যে তোমার একমাত্র সাথী কিন্তু বই ই হবে।

১৯। বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা (Analytical Thinking) করার শক্তি বাড়ায় 

Keep reading. It’s one of the most marvelous adventures anyone can have.

Lloyd Alexander

ডিটেক্টিভ বই গুলো কখনো পড়েছ? প্রথম কয়েক পাতা পড়ার পর ই মন কেমন উদগ্রীব হয়ে থাকে না আসল সত্য টা জানার জন্য? আর মনে মনে নিশ্চয় তুমিও তাঁর একটা সমাধান বার করে ফেলো। যেমন ধরো গুপ্তধন রহস্য তে গুপ্তধন কোথায়, কে কিভাবে তা লুকোতে পারে। সেই নিয়ে তুমিও নিশ্চয় মনের মধ্যে কিছু কষে ফেলো।

তারপর মন শুধু ভাবতে থাকে- কবে বইটা শেষ হবে, কবে জানতে পারবো আসলে কে গুপ্তধন লুকিয়েছিল? আর এইসব কিছু চিন্তা ভাবনা তোমার বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা করার শক্তি কে বৃদ্ধি করে।

২০। অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন

An hour spent reading is one stolen from paradise.

Thomas Wharton

যখন তুমি অন্যের জীবনী বা অন্যের কাহিনী পড়বে, তখন তিনি কিভাবে জীবনে ব্যর্থ হয়েছেন বারে বারে, কি ভুল তিনি করেছিলেন সেইসব সম্পর্কে তোমার একটা ধারনা হবে। তোমার জীবনে সফল হওয়ার পথ টা আরো সহজ হয়ে যাবে।

বই পড়ার উপকারিতা খুব বেশী বলেই তো একটি বই একশত বন্ধুর সমান। বই পড়া এমন এক জিনিষ যা শরীর ও মন কে তাজা করে তোলে, মনের বয়স বাড়তে দেয় না, জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে।

তাই মন কে সতেজ রাখতে বই পড়তে থাকো প্রচুর পরিমানে। আর বই পড়ার উপকারিতা গুলো ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করো বন্ধুদের সাথে, যাতে করে তারাও বই পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হয়।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন। চলুন, সবাই মিলে একসাথে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। এই পৃথিবীর প্রতিটি কোনা ভরে উঠুক ঈশ্বরের আশীর্বাদে!  

3 thoughts on “বই পড়ার উপকারিতা গুলো কি কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট